কলকাতার বালিগঞ্জে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড: পুড়ে ছাই চারটি বাড়ি।




কলকাতা :- কলকাতার বালিগঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন কাকুলিয়া রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কলকাতা পৌরসভার ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঝুপড়ি এলাকার এই দুর্ঘটনায় চারটি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, একটি বাড়িতে ধূপ বা প্রদীপ জ্বালিয়ে তা তালাবন্ধ অবস্থায় রেখে বাইরে চলে যান বাসিন্দা। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।


আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের ঝুপড়ি বাড়িগুলিতে। এর জেরে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখা আকাশের দিকে উঠে যায় এবং চারদিকে কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা তৎক্ষণাৎ দমকলে খবর দিলে, দমকলের ৬টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হয়। প্রায় কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য অনুযায়ী, অগ্নিকাণ্ডের সময় বহু মানুষ ঘর ছেড়ে বাইরে পালিয়ে আসেন। তবে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। তবুও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিশাল। অনেক পরিবার তাদের মাথার ওপরের ছাদ হারিয়ে খোলাআকাশের নীচে এসে দাঁড়িয়েছে।

দমকল বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বন্ধ বাড়ির ধূপ বা প্রদীপ থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে তাদের প্রাথমিক অনুমান। তবে, অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানতে আরও তদন্ত চালানো হচ্ছে।



স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ঝুপড়ি এলাকার বসবাস ব্যবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। দমকলের আরও দ্রুত উপস্থিতি বা এলাকায় অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলে হয়তো ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমানো যেত। সরকারের কাছে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা।


এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড কলকাতার নাগরিক নিরাপত্তার দিকে বড় প্রশ্ন তুলে দিল। অগ্নি-সুরক্ষার নিয়মাবলী মেনে চলা এবং সচেতনতার ওপর জোর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই দুর্ঘটনা।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ