বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর, যা মন্দির-নগরী হিসেবে পরিচিত, পর্যটন মরশুমের শুরুতেই ভিড় বাড়ছে এখানে। মল্ল রাজাদের রাজধানী হিসেবে খ্যাত এই প্রাচীন শহরটি তার টেরাকোটার মন্দির, যেমন রাসমঞ্চ, জোড় বাংলা মন্দির, শ্যাম রায় মন্দির, মদন মোহন মন্দির, রাধাশ্যাম মন্দির এবং মৃন্ময়ী মন্দিরের জন্য দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
এছাড়া দলমাদল কামান ও গড়দরজার মতো ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোও পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। ইতিহাসপ্রেমী দেবাশীষ ব্যানার্জী ও সাথী ব্যানার্জী বলেন, "ইতিহাসকে ছুঁয়ে দেখতে প্রতিটি মানুষের একবার বিষ্ণুপুর ঘুরে আসা উচিৎ।"
পৌরপ্রধান গৌতম গোস্বামী জানান, শহরকে পরিষ্কার রাখতে প্রতিদিন তিনবার সাফাইয়ের কাজ চলছে এবং রাস্তা মেরামতের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হচ্ছে।
পর্যটকদের আগমনে হস্তশিল্পের বাজারও জমে উঠেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী যমুনা দাস জানান, শীতকালেই পর্যটকদের আনাগোনা বেশি হয়। যদিও বিক্রি এখনও আশানুরূপ নয়, তিনি আশা করছেন বিষ্ণুপুর মেলা শুরু হলে বিক্রিতে গতি আসবে।
বিষ্ণুপুরে বেড়ানোর পাশাপাশি এর ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পও পর্যটকদের কাছে বাড়তি আকর্ষণ যোগাচ্ছে। প্রাচীন ইতিহাস ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতির এই শহরে একবার ভ্রমণ প্রত্যেক ইতিহাসপ্রেমীর কাছে অবশ্য কর্তব্য।
0 মন্তব্যসমূহ
ধন্যবাদ