বড়ো দিন: প্রেম, শান্তি ও সম্প্রীতির উৎসব

 



বড়ো দিন, বা খ্রিস্টমাস, সারা পৃথিবী জুড়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি বিশেষ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব। প্রতিবছর ২৫শে ডিসেম্বর খ্রিস্টানরা যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উদযাপন করেন। তবে এটি শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি সমস্ত ধর্ম-বর্ণের মানুষদের জন্য মিলনের প্রতীক।


বড়ো দিনের উৎসবের সূচনা হয়েছিল যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উদযাপনের মধ্য দিয়ে। বাইবেলের মতে, বেথলেহেম শহরে এক গোশালায় মাতা মেরি ও পিতা যোসেফের কোলে জন্ম নেন যিশু। সেই রাতেই আকাশে আলোকিত তারা দেখা যায়, যা দিয়ে জ্ঞানী মানুষরা যিশুর আবির্ভাবের কথা জানতে পারেন।


বড়ো দিনের উদযাপন:

১. গির্জার প্রার্থনা: বড়ো দিন শুরু হয় গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা যিশুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গান ও প্রার্থনায় অংশ নেন।


২. ঘর সাজানো: বড়ো দিনে ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর বিশেষ প্রথা রয়েছে। বিভিন্ন আলোকসজ্জা, রঙিন বল, তারকা, এবং ঘন্টা দিয়ে এটি সাজানো হয়।


৩. উপহার বিনিময়: ছোটদের কাছে বড়ো দিনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো সান্তা ক্লজের উপহার। সান্তা ক্লজকে তারা একটি রূপক চরিত্র হিসেবে দেখে, যিনি বড়ো দিনে উপহার নিয়ে আসেন।


৪. বিশেষ খাবার: বড়ো দিনে কেক, কুকিজ, পুডিং, এবং টার্কির মতো বিশেষ খাবার প্রস্তুত করা হয়।


৫. মানবকল্যাণ: এই দিনে গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করার বিশেষ প্রথা রয়েছে। বিভিন্ন চ্যারিটি ইভেন্ট ও কমিউনিটি ডিনারের আয়োজন হয়।


বড়ো দিন প্রেম, শান্তি, এবং সম্প্রীতির বার্তা বহন করে। এটি সকল মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সহমর্মিতা প্রদর্শনের উৎসব। ধর্ম, বর্ণ বা সংস্কৃতি নির্বিশেষে বড়ো দিন আজ এক বৈশ্বিক আনন্দোৎসবে পরিণত হয়েছে।


এই দিনে আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিতে পারি এবং মানবতার জন্য কাজ করার নতুন সংকল্প নিতে পারি। বড়ো দিন কেবল একটি উৎসব নয়, এটি একাত্মতা ও মানবতার চিরন্তন স্মারক।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ