মিজোরামের লেংপুই বিমানবন্দরে সিআইএসএফ-এর নিরাপত্তা মোতায়েন, উত্তর-পূর্ব ভারতে নিরাপত্তা জোরদার

 





নতুন দিল্লি,:- উত্তর-পূর্ব ভারতের বিমান চলাচল নিরাপত্তাকে আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (CISF) এখন থেকে মিজোরামের একমাত্র জাতীয় বিমানবন্দর — লেংপুই বিমানবন্দর-এর নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
এই উপলক্ষে ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে লেংপুই বিমানবন্দরে এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মিজোরাম পুলিশের ডিজিপি অনিল শুক্লা, সিআইএসএফ-এর আইজি বিজয় প্রকাশ, ডিআইজি দীপক বর্মা, বিমান চলাচল বিভাগের পরিচালক লালরোহলুয়া, লেংপুই বিমানবন্দরের ডিরেক্টর পি. ইউ. স্যাডেংগা, এবং সিআইএসএফ ইউনিট ইনচার্জ হরীশ সিং নায়াল, সহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা।
এই মোতায়েনের মাধ্যমে লেংপুই বিমানবন্দর ভারতের ৬৯তম সিআইএসএফ সুরক্ষিত বিমানবন্দর হয়ে উঠলো, এবং মিজোরামে এটি সিআইএসএফ-এর প্রথম স্থায়ী ইউনিট, যা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাহিনীর উপস্থিতি আরও শক্তিশালী করল।





ভারত সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নীতির আওতায়, এই পদক্ষেপ কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিগত কয়েক বছরে লেংপুই বিমানবন্দরে যাত্রী সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায়, এখানে আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল।
প্রথম ধাপে, ১২১ জন সিআইএসএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে থাকবেন একজন উপ-কমান্ড্যান্ট স্তরের আধিকারিক। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা ২১৪ জন পর্যন্ত বাড়ানো হবে। এই বাহিনী মিজোরাম পুলিশ ও সিআরপিএফ-এর পূর্বতন যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার জায়গা নেবে।





লেংপুই বিমানবন্দরটি মিজোরামের রাজধানী আইজল থেকে ৩২ কিমি উত্তরে অবস্থিত এবং এটি ভারতের প্রথম রাজ্য-নির্মিত বৃহৎ বিমানবন্দর। এটি ১৯৯৮ সালে চালু হয় এবং বর্তমানে কলকাতা, দিল্লি, গুয়াহাটি, শিলচর এবং ইম্ফলের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করছে।
এই ২৫০০ মিটার দীর্ঘ টেবিলটপ রানওয়ে-র জন্য বিমান চালনার নিরিখে এটি একটি চ্যালেঞ্জিং বিমানবন্দর, তবে এটি রাজ্যের পর্যটন, যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য
ভারত-মিয়ানমার ও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নিকটবর্তী হওয়ায় এই অঞ্চলের বিমান চলাচল নিরাপত্তা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
CISF-এর উপস্থিতি কেবল ভবিষ্যৎ হুমকি যেমন সন্ত্রাস, চোরাচালান ইত্যাদির মোকাবিলা করবে না, বরং যাত্রীদের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় যাত্রার আশ্বাস দেবে।
এই মোতায়েনের মাধ্যমে CISF এখন সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, পুদুচেরি ও লক্ষদ্বীপ ব্যতীত দেশের প্রায় সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে তার নিরাপত্তা পরিসেবা বিস্তার করেছে।





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ