নদিয়ার শিক্ষাক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল সাফল্য: দ্রোণাচার্য সম্মান পেলেন জয়ন্ত ঘোষ

 




নদিয়া জেলার শান্তিপুর মিউনিসিপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষক জয়ন্ত ঘোষ সম্প্রতি দ্রোণাচার্য সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। টেকনো ইন্ডিয়া নামে একটি সংস্থার উদ্যোগে এই সম্মান প্রদান করা হয়, যেখানে রাজ্যের বিভিন্ন বোর্ডের অধীনে থাকা ৫০০ জনেরও বেশি সেরা শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কৃত করা হয়।


টেকনো ইন্ডিয়ার এই উদ্যোগে মূলত রাজ্যের সেরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিভিন্ন বিভাগ অনুযায়ী বাছাই করা হয়। বিজ্ঞানের জন্য সেরা শিক্ষক, কলা বিভাগের সেরা শিক্ষক, এবং বাণিজ্য বিভাগের সেরা শিক্ষকদের সম্মান প্রদান করা হয়। এই বছর নদিয়া জেলায় বিষয়ভিত্তিকভাবে ছয়জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন শান্তিপুর মিউনিসিপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের জয়ন্ত ঘোষ।




বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুকদেব কুন্ডু বলেন, “এই সম্মান আমাদের বিদ্যালয়ের জন্য এক বিরাট গর্বের বিষয়। আমরা কেউই এই বিষয়ে অবগত ছিলাম না, এমনকি জয়ন্ত বাবু নিজেও জানতেন না। বিদ্যালয়ের তরফ থেকে কোনো রকম দরখাস্ত বা আবেদন না দিয়েও বিষয়ভিত্তিকভাবে তাঁকে যেভাবে বাছাই করা হয়েছে, তা সত্যিই অভূতপূর্ব। এই পুরস্কার আমাদের বিদ্যালয় এবং গোটা জেলার জন্য এক বড়ো প্রাপ্তি।”



সুকদেব কুন্ডু আরও জানান, "শান্তিপুরে বাণিজ্য বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করা ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। কিন্তু এটি কোনোভাবেই উপেক্ষার বিষয় নয়। আমাদের বিদ্যালয়ে থাকা অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই বিভাগকে একটি শক্তিশালী ভিত্তি দিয়েছেন। বিভিন্ন পেশায় প্রতিষ্ঠিত প্রাক্তন ছাত্রদের উদাহরণ অভিভাবকদের গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত। জয়ন্ত বাবুর এই সম্মান বাণিজ্য বিভাগের সাফল্যেরই প্রতীক।”



জয়ন্ত ঘোষ এই সম্মান পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি বলেন, “এটি আমার জীবনের একটি অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত। আমি এই সম্মান আমার বিদ্যালয়, ছাত্র-ছাত্রী এবং সহকর্মীদের উৎসর্গ করতে চাই। টেকনো ইন্ডিয়ার এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। সরকারি এবং বেসরকারি বিদ্যালয়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে এমন সম্মান অনুষ্ঠান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”


উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি, প্রাক্তন সভাপতি সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এই সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রের জন্য এটি একটি বিশেষ উদ্যোগ বলে সকলেই প্রশংসা করেছেন।


জয়ন্ত ঘোষের এই অর্জন শুধু বিদ্যালয়ের নয়, গোটা জেলার শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়নে এক নতুন অধ্যায় সংযোজন করেছে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ