ঝাড়খণ্ডে অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেন

 





লেভেল ক্রসিং গেট টপকে রেললাইনে ট্রাক, সংঘর্ষে লাইনচ্যুত ট্রেন, ব্যাহত ট্রেন চলাচল।পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের জসিডি ও শঙ্করপুরের মাঝে অবস্থিত লেভেল ক্রসিং নং ২৭/ই-তে মঙ্গলবার দুপুরে বড় দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে লেভেল ক্রসিং গেট বন্ধ করার মুহূর্তে এক ট্রাক গেট টপকে রেললাইনে চলে আসে এবং ০৩৬৭৬ ডাউন ঝাঁঝা-আসানসোল-বর্ধমান মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।


ট্রেনের সামনের অংশ ট্রাকের সাথে ধাক্কা খাওয়ায় চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে সৌভাগ্যক্রমে এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও একটি বড় দুর্ঘটনা অল্পের জন্য এড়ানো গেছে। এই ঘটনায় ঐ লাইনে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।



দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আসানসোল ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার বন্দনা কুমারীর নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মধুপুর থেকেও রেল আধিকারিক ও কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। বিকেল সাড়ে চারটায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের সামনের অংশ থেকে পিছনের অংশ আলাদা করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার পর ঐ লাইনে ট্রেন চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।


দুর্ঘটনার কারণে ঝাঁঝা-আসানসোল-বর্ধমান মেমু ট্রেন আসানসোলে পৌঁছাতে পারেনি। ফলে আসানসোল স্টেশনে অপেক্ষারত যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রেল কর্তৃপক্ষ সন্ধ্যা ৫টা ২০ মিনিটে আসানসোল থেকে বর্ধমানের উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ ট্রেন চালায়।



পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (সিপিআরও) কৌশিক মিত্র জানান, ট্রেনটি আসানসোলের দিকে আসার সময় জসিডি ও শঙ্করপুরের মাঝে ২৭/ই লেভেল ক্রসিং গেটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গেট বন্ধ করার সময় একটি ট্রাক জোর করে রেললাইনে ঢুকে পড়ে এবং ট্রেনের সাথে সংঘর্ষ হয়। তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর না থাকলেও বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।


আসানসোল ডিআরএম চেতনা নন্দ সিং জানান, রেল কর্মীরা তৎপরতার সাথে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। দুর্ঘটনার ফলে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ ব্যাহত হয় এবং আপ লাইনের চলাচলেও প্রভাব পড়ে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।


ঝাঁঝা-আসানসোল-বর্ধমান মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনের এই দুর্ঘটনা একটি বড় ধরনের বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা অল্পের জন্য এড়ানো সম্ভব হয়েছে। রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি আরো নজরদারি ও সচেতনতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ