পুরুলিয়া, ২৩ ডিসেম্বর: রাইকা পাহাড়ের জঙ্গলে বাঘিনী যমুনাকে ধরতে মরিয়া বনদপ্তর। রবিবার রাতভর স্যাটেলাইট মনিটরিং, থার্মাল ইমেজ স্ক্যানিং, নাইট ভিশন ড্রোন এবং বিশেষ ট্রাঙ্কুলাইজার টিমের সহযোগিতায় বহু চেষ্টা করেও তাকে ফাঁদে ফেলতে ব্যর্থ বনকর্মীরা। মহিষ ও ছাগলের পরিবর্তে শুকর টোপ হিসেবে ব্যবহার করেও কোনও ফল মেলেনি। সোমবার সকালে বাঘিনীর অবস্থান সামান্য পরিবর্তন হলেও, সে এখনও রাইকা পাহাড়ের গভীর জঙ্গলে অবস্থান করছে।
গত ১৫ ডিসেম্বর উড়িষ্যার সিমলিপাল রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে পালিয়ে আসা বাঘিনীটি ঝাড়খণ্ডের গোটাশীলা পাহাড় পেরিয়ে শনিবার গভীর রাতে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি থানার কাঁকড়াঝোড় জঙ্গল থেকে ঢুকে পড়ে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের জঙ্গলে। বাঘিনী যমুনাকে ধরতে পুরুলিয়া বনদপ্তর, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের বিশেষ টিম এবং উড়িষ্যার সিমলিপাল রিজার্ভ ফরেস্টের বিশেষ দল একযোগে কাজ চালাচ্ছে। শীঘ্রই ওড়িষ্যার সিমলিপাল রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে আরও ১৫ সদস্যের একটি বিশেষ দল যোগ দেবে।
বাঘিনীর গতিবিধির কারণে রাইকা পাহাড় সংলগ্ন কেশরা, কায়রা, সগেডি, লেদাশাল, চিরুগাড়ু এবং বারুডি সহ একাধিক গ্রামের মানুষদের মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে। বনদপ্তর ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের সাবধানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, জঙ্গলের আশপাশের গ্রামে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বাঘ ধরতে বনদপ্তরের টিম রীতিমতো নাজেহাল। বনদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, “আমাদের সমস্ত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেও এখনও বাঘিনীকে খাঁচায় বন্দি করতে পারিনি। তবে শীঘ্রই আমরা তাকে ধরতে সক্ষম হবো।”
বাঘিনী যমুনার উপস্থিতি এলাকায় উত্তেজনার সঞ্চার করেছে। গ্রামবাসীরা চায় দ্রুত এই বাঘিনীর সমস্যা থেকে মুক্তি।
0 মন্তব্যসমূহ
ধন্যবাদ