বার্নপুরে গ্রামীণ শিক্ষার প্রসারে চালু হলো "একটাকার পাঠশালা"

 




বার্নপুর :- শিক্ষার প্রসারে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করল আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এবং তাঁর পিতা ডাঃ অশোক রায়ের সামাজিক সংগঠন "আসানসোল দোসর"। পশ্চিম বর্ধমান জেলার বার্নপুরের তালুকুড়ি গ্রামে শুরু হওয়া "একটাকার পাঠশালা" গ্রামীণ এলাকার শিশু ও মহিলাদের শিক্ষায় নতুন পথ খুলে দিল।



বুধবার তালুকুড়ি গ্রামে এই স্কুলের উদ্বোধন করেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন "আসানসোল দোসর" র সভাপতি ডাঃ অশোক রায় সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। স্কুলের প্রথম দিনেই ৬০ জন পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে। এ উদ্যোগটি শুধুমাত্র ছেলেমেয়েদের জন্য নয়, গ্রামের পিছিয়ে পড়া মহিলাদের শিক্ষায় আলোকিত করার লক্ষ্যেও কাজ করবে। ভবিষ্যতে কালাঝড়িয়া গ্রামেও এই ধরণের আরও একটি স্কুল খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।



উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, "শিক্ষা একটি বড় বিষয়। শিক্ষা দিয়ে শুধু মানুষকে নয়, পুরো পৃথিবীকে জানা যায়। গ্রামের ছেলেমেয়েরা এখনো সঠিকভাবে শিক্ষার আলো পায় না। যদিও কিছু পায়, সেটি বেশিরভাগই পুঁথিগত। কিন্তু জীবনের বাস্তব শিক্ষা ও উন্নত চিন্তার জন্য অনেক কিছু শেখার প্রয়োজন। এই কারণেই 'আসানসোল দোসর'-এর উদ্যোগে আমরা 'একটাকার স্কুল' শুরু করেছি।"



তিনি আরও জানান, "যদিও এর নাম 'একটাকার স্কুল', প্রকৃতপক্ষে এখানে সবকিছুই বিনামূল্যে শেখানো হবে। স্থানীয় এক যুবক বা যুবতীকে স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে, যা তাদের নেতৃত্বের গুণাবলী বাড়াবে। আমাদের লক্ষ্য বার্নপুরের প্রতিটি গ্রামে এ ধরনের স্কুল চালু করা।"


এই উদ্যোগ সম্পর্কে গ্রামবাসীরা অত্যন্ত খুশি। বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির সময়ে যেখানে ১০০ টাকায় একজন মানুষের একবেলার খাবার হয় না, সেখানে এমন একটি প্রকল্প প্রশংসনীয়। এক গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, "এই স্কুল শুধু শিক্ষার আলো ছড়াবে না, বরং গ্রামের সামাজিক উন্নয়নেও বড় ভূমিকা রাখবে। আমরা আশা করি, সবাই এর সুফল পাবে।"


এই উদ্যোগ শুধুমাত্র শিক্ষার প্রসারে নয়, বরং গ্রামীণ সমাজের অগ্রগতির জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের কাছে শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে "একটাকার পাঠশালা" একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ